তিনি বলেন, ‘জাতি একটা শঙ্কার মধ্যে আছে। নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন না দিয়ে অন্যদিকে ধাবিত হচ্ছে। করিডর ইস্যু, বিনিয়োগ সম্মেলন হচ্ছে, বন্দর দিয়ে দিচ্ছে তাদেরকে এসব ক্ষমতা কে দিয়েছে?’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘দক্ষিণের মেয়রের যে ইস্যু, কোর্টের যে অর্ডার সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন হতে হবে। তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের লোককে প্রতিনিয়ত দায়িত্ব নিচ্ছে। এরা কারা?
আরও পড়ুন: আ.লীগের জুলুম না করা কর্মীরা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন: আমীর খসরু
সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে সংস্কার হতে হবে।’
দলের জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে আমীর খসরু বলেন, ‘নতুন সদস্য সংগ্রহ করব, তবে তার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা, এই মানদণ্ড অনুযায়ী আমরা নতুন সদস্য নেব। বাংলাদেশে আমরা একটা স্থিতিশীল সহাবস্থানের রাজনীতি করতে চাই। সাংঘর্ষিক কোনো রাজনীতি আমরা চাই না। যারা বিভিন্নভাবে এটিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন, আমরা তার বিরোধিতা করবই।’
তিনি বলেন, ‘আগামীর নির্বাচনে যতগুলো নির্বাচন হবে, তা যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়। এটি যেন একটা রুটিনে পরিণত হয়। সরকার যে আস্থা হারাচ্ছে, এটি দেশের জন্য দুর্ভাগ্য। দুই মাস আগে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি, যা লিখিত দিয়েছি। অর্থাৎ আইনি প্রক্রিয়ায়। কিন্তু সরকার নাটক কেনো করলো, মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে।’
বন্দরে বাইরের অপারেটর আনার মতো সিদ্ধান্ত জনসমর্থন নিয়ে করা উচিত বলে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। এটি শুধুমাত্র বিনিয়োগের ব্যাপার না। সরকার নির্বাচন বাদে বাকি সব কিছু করছে। সব কিছুর দায়িত্ব তাদের কে দিলো?
0 Comments